হোক ইচ্ছের বহিঃপ্রকাশ...

কোরাল বিচে রোমাঞ্চকর একটি দিন

সমুদ্রের পারে খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাঘুরি, ফায়ার ওয়ার্ক এর খেলা দেখা সহ নানা ধরনের একটি ভিজিট করার জন্য কোহ সামু বিখ্যাত। আমাদের আজকের দিন সকাল আনন্দঘন মূহুর্তগুলোর গল্প শোনাব আপনাদেরকে।

কোহ সামুই

প্রবাল পাহাড়ের এই সাম্রাজ্য সুর্য উদয় উপভোগ করার সৌভাগ্য আগে কখনও হয়নি। তাই খুব ভোরে সূর্য উদয় দেখতে বের হলাম। তখনও সূর্য উদয় হয়নি। চারিদিকে অন্ধকার ছিল। ধীরে ধীরে সূর্যের আলোয় আলোকিত হতে লাগলো চার দিক।

কোহ সামুই

মৃত্তিকার সন্তানদের আলোকিত করে যেন আনন্দের বার্তা দিয়ে গেল প্রকৃতি। সমুদ্রের এই অবধারিত বিশাল রূপ আমাদেরকে জীবনের নতুন মাত্রা আবিস্কারে অনুপ্রাণিত করে। সকল হিংসা ভুলে জীবনকে নতুন করে সাজাতে উৎসাহিত করে সূর্য উদয় দেখে আমরা রুমে চলে আসি।

কোহ সামুই

আমাদের কাটেজটা পাহাড়ের উপর। এখান থেকে সমুদ্রের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। বেশ বড় বারান্দা। এখানে বসে কিছু সময় ল্যাপটপে কাজ করে আমরা ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। কারণ আজ        আমরা বাশের আর একটা হোটেলে থাকবো। তাই হেঁটে হেঁটে রিসিপশনে চলে আসলাম চেক আউট করব বলে। রিসিপশন থেকে একজনকে দিয়ে দিল। তিনি গাড়িতে করে আমাদের পাশের হোটেলে দিয়ে আসলেন।

কোহ সামুই

আগেই বলেছি থাইল্যান্ডের মানুষেরা খুব ভাল। এরা কখনও টিপস চায় না। আমরা খুশি হয়ে দিয়েছি। আমাদের দেশে বা ভারতে টিপসের জন্য জোরাজুরি করে। নিজে থেকে চেয়ে নেয়। কিন্তু এখানে এমনটা নয়। কেউ টিপস চায় না।

কোহ সামুই

এই হোটেলটাও সুন্দর। তবে বেশি সুন্দর এই রুমের জানালা থেকে ভিউ। মূলত Agoder তে এই জানালাটা দেখে ভাল লেগেছিল। তাই এই রুমটা বুক করেছিলাম। এসি রুম, বড় বিছানা, পরিস্কার টয়লেট, গিজার, Electric Kettle, চা-কফি, ফ্রিজ, আলমারি, টেবিল, চেয়ার সোফা সব ছিল এই রুমে। সাথে ছোট একটা সুইমিং পুল আর ক্যাফে ছিল। তবে এদের এখানে খাবারের দাম বেশি মনে হয়েছিল। তাই আমরা পাশের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খাই। এখানে চিকেন স্টেক টম খাও, রাইস জুস খেয়েছি। বেশ ভাল ছিল স্বাদ।

কোহ সামুই

দুপুরেরে খাবার খেয়ে রুমে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে বের হলাম। আজ রাতে Fire Work এর খেলা দেখার জন্য বুক করা ছিল পাশের একটি ক্যাফেতে। আমরা সেখানে চলে গেলাম। রাতের ডিনার খেতে খেতে আগুনের খেলা দেখতে লাগলাম। আগুন দিয়ে এমন খেলা আমরা আগে কখনও দেখিনি।

কোহ সামুই

সাগর এর পাশে ডিনার খেতে খেতে মিউজিকের তালে তালে এমন আগুন খেলা বেশ ভাল লাগছিল। আমরা অনেক সময় নিয়ে ডিনার করলাম আর Fire Game দেখলাম। এরা পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য কত রকম ব্যবস্থা করে রেখেছে দেখে ভাল লাগে। আমাদের কক্সবাজার বা কুয়াকাটাতে সন্ধ্যার পর কিছু করার থাকে না। আমরা এদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। রাতের ডিনার করে রুমে চলে আসলাম। আমাদের আগামীকাল ভ্রমণ গল্প শোনার আমন্ত্রণ রইল।

কোহ সামুই
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp

অন্যান্য লেখা গুলো পড়ুন