হোক ইচ্ছের বহিঃপ্রকাশ...

অপরূপ বিচে সুন্দর কিছু সময়

আজ আমরা চেওয়া বীচে অসল ঘোরা ঘুরি করব এবং মীনাম বীচে কোকোনাট বীচ রিসোর্টে যাব। নাইট ফুড মার্কেটে খাওয়া, বীচ শপিং আর রাতের বীচ উপভোগ করব। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে আমাদের এই আনন্দময় ভ্রমণ গল্প।

চেওয়াং বিচ, কোহ সামুই

চেওয়া বীচে আমরা কিছু দিন ছিলাম। অলস সময় পার করেছি। সমুদ্রের পারে দুজনে হেটেঁছি। তেমন কোন তাড়া ছিলা না। নানান স্পট ঘোরার তেমন কোন ইচ্ছেও ছিল না। দুজনে রিলাক্স টাইম কাটানোর ইচ্ছা ছিল শুধু। সকাল বেলা দুজনে সমুদ্রের পারে হাঁটতে থাকলাম। অনেক সময় নিয়ে সমুদ্রের কাছে বসে থাকলাম। পানিতে পা ভিজিয়ে অনেকটা অলস সময় কাটিয়ে দিলাম। বেশ একটা সুন্দর সময় কেটেছিল আমাদের।

চেওয়াং বিচ, কোহ সামুই

মাঝে মাঝে বীচের পাশে নানা ধরনের দোকান ঘুরে ঘুরে দেখতাম। চিত্রকর্মের কিছু দোকান ছিল। শিল্পীরা ছবি আঁকতো। দেখতে বেশ ভাল লাগতো। বিকেল বেলা কোন ক্যাফেতে বা জুস বারে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ। দারুন লাগতো সেই সময় গুলো। বীচৈর পাশে তখন অনেক Activities হতো। কেউ Fire work খেলা দেখতো, কেউ বার বি কিউ পার্টি করত। গান-নাচ সব হোত। ছোট বড় সব বয়সী মানুষ থাকতো। নানা দেশের নানা বর্ণের।

চেওয়াং বিচ, কোহ সামুই

এছাড়া মাঝে মাঝে ফুড মার্কেটে ঘুরতে যেতাম। সেন্ট্রাল সামুই নামে বিশাল একটা শপিং মল। অবস্থা কোহ সামুই তে। সেখানে ফুড কোট খুব জনপ্রিয়। লাইভ গান হয়। নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আমরা প্রায় সেখানে সন্ধ্যার পর ঘুরতে এবং খেতে যেতাম।

চেওয়াং বিচ, কোহ সামুই

চেওয়া বীচে যে হোটেলটায় ছিলাম সেটা বেশ সুন্দর হোটেল। খুব চিওয়াং হোটেল। মাত্র ৭০০ বাথ রাথ প্রতি। একদম সেন্টারে অবস্থিত। পার্টি লাইফ যাদের পছন্দ তাদের খুব ভাল লাগবে। রুমে টিভি আলমারি, বড় আরামদায়ক খাট সব আছে। জিনিসপত্র রাখার টেবিল, ফ্রি WiFi পরিস্কার বাথরুম। ফ্রিজ, গিজার সব গোছানো, ছিমছাম। বাথরুম সাবান স্যাম্পু তোয়ালে সব প্রতিদিন দিত। খাবার পানি দিত। সুইমিং পুল ছিল। কর্মীরা বেশ ভাল ব্যবহার করত। ঘরেরসামনে বসার জন্য দুটো চেয়ার ছিল। আমরা এই হোটেলে ৩ রাত ছিলাম।

চেওয়াং বিচ, কোহ সামুই

এখান থেকে আমরা রওনা হই মীনাম বীচে। সেখানে কোকপাম বীচ রিসোর্টে আমাদের বুকিং ছিল। একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে আমরা ককোপাম রিসোর্টে চলে আসি। এটি একটু গ্রাম সাইডে। শহরের কলাহোল এখানে কম। অনেকে গাছপালা, আর নিরিবিলি পরিবেশ। রিসিপশনে ফরমালিটি শেষ করে আমরা ওয়েলকাম Drinks খেয়ে নিলাম। তারপর রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় বারান্দায় বসে প্রকৃতি উপভোগ করলাম। এখানে অনেক ধরনের রুম আছে। সবগুলো এক তলা বিশিষ্ট কটেজ।

চেওয়াং বিচ, কোহ সামুই

আমরা বিকালের দিকে বীচের দিকে গেলাম। চারিদিকে প্রচুর গাছ দিয়েঘেরা এই রিসোর্টটি। বেশ বড় আয়তনে চওড়া রাস্তা। পাখি, কাঠবিড়ালী, মাছ, দিঘী সব আছে। প্রচুর কাঠগোলাপের গাছ। বীচের পাশে সুন্দর রেস্টুরেন্ট। আমরা বীচ এর পাশে বসে কফি নিলাম দুই মগ, ধীরে ধীরে সন্ধ্যা হয়ে এলো। সাগর পারে সন্ধ্যা বেলা খুব চমৎকার অনুভব হয়।

কোহ সামুই

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। সাগরের গর্জন শুনতে শুনতে সময় কখন যায় তা বোঝা যায় না। রেস্টুরেন্টে মৃদু বাজনা বাজছে। বেশ চুপচাপ চারিদিক। এই রিসোর্টের পাশে কোহ প্যানগন আর কোহ যাবার পিয়ার। জাহাজ গুলো আসে আর যায়। দেখতে ভাল লাগে। আমরাও সারা দিনের হাঁট হাটিতে ক্লান্ত। তাই রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। এখানে খাবারের মান খুব ভাল ছিল। কফি, জুস, স্নাক্স বা মেইন ডিশ সব খুব ভাল ছিল। আমরা রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরলাম। কাল এখানেই থাকব। সকাল বেলা সূর্য উদয় দেখার ইচ্ছে। আপনিও থাকবেন আশা করি আমাদের সাথে।

কোহ সামুই
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp

অন্যান্য লেখা গুলো পড়ুন