তরুণ প্রজন্ম আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখবার সাহস দিয়েছে। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি অস্বীকার করে আমরা কখনও একটি মানবিক দেশ গড়ে তুলতে পারবো না। স্বাধীনতা-সংস্কার-সভ্যতা-শান্তি প্রতিষ্ঠা বা রক্ষা করতে হলে নিজেদের শিকড়কে চিনতে হবে, ভালবাসতে হবে নিজেদের ইতিহাসকে। নয়তো ভবিষ্যতে নিজেদের অস্তিত্ব একদিন বিপন্ন হয়ে উঠবে। ইতিহাসে যার যে সম্মান প্রাপ্য তাকে তা দেয়ার মাঝে কোন লজ্জা নেই। বরং না দিতে পারলে তা আমাদের নিজেদের লজ্জা। পিতার কৃতিত্বে যেমন সন্তানের কোন অবদান নাই, সন্তানের কুকীর্তির জন্য তেমন পিতাকে অসম্মান করাটা কাম্য নয়। আসুন আমরা কৃতজ্ঞ হতে শিখি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও শেখাই। সহনশীলতা, সহমর্মিতা, সাম্য, ঐক্য, শ্রদ্ধা বাদ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য জাদুঘর স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব ভাল উদ্যোগ। কিন্তু আমরা কি ইতিহাসের মর্ম বুঝি? কারণ এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দিনে আমরা আমাদের পুরনো স্মৃতি জাদুঘর ভস্মীভূত করে দিয়েছিলাম। ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরী। এর জন্য দরকার ইতিহাস বিনির্মানে যারা অবদান রেখেছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা, দেশের প্রতি ভালবাসা, পারস্পরিক সহনশীলতা, মানুষের মাঝে সম্প্রীতি। অতীতকে ধারণ করে ভবিষ্যতের পথ রচনা করতে হয়। বর্তমানের স্মৃতি জাদুঘর যেন আগামীর বিজয় উল্লাসের প্রবল উত্তাপে ধ্বংসস্তূপে পরিণত না হয় সেই প্রত্যাশা রইল ।