শোনা যাচ্ছে, অভ্যুত্থানে প্রাণ হারানোদের স্মরণে সভা হবে আর সেখানে খরচ হবে প্রায় ৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এর অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু এখনও গণ অভ্যুত্থানে আহত নিহতদের পুর্নাঙ্গ তালিকা তৈরি করা যায়নি। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া বা আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় ৫ কোটি টাকা খরচ করে সভা করার যৌক্তিকতা কি? গত সরকারের আমলে বাংলাদেশের ইতিহাসের স্মৃতি রক্ষার্থে বহু ভাস্কর্য (মুর্তি), জাদুঘর, মুরাল, স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি হয়েছিল। মৃত্যু দিবসে স্মরণ সভার নামে অনেক অর্থ অপচয় হয়েছে। এসব নিয়ে সমালোচনা হয়েছে প্রচুর। এসব কাজে অর্থ অপচয় না করে অভুক্ত, অসহায়, দরিদ্র নাগরিকের কল্যাণে ব্যয় করা যেত বলে মনে করা হয়। এখন এসব স্মরণ সভায় যে অর্থ ব্যয় হবে তা নিয়ে পরবর্তী বিপ্লবী প্রজন্ম প্রশ্ন তুলবে কিনা সেটাই প্রেশ্নসাপেক্ষ বিষয়।
খবরে দেখলাম ঢাকার বাইরে সফরের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। কেন হয়েছে বোধগম্য নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিওতে দেখলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্ম আয়োজিত মতবিনিময় সভাতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছাত্র নেতাদের অনুসরণ করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কোন প্রটোকলে এমন সুবিধা পাবেন? ব্যাপারটা কি অনেকটা গত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে করা “বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা আইন” মত হয়ে গেল না? যেখানে দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় নি এখনও। অনেক থানাতে এখনও পুলিশ সেভাবে সক্রিয় হয় নি, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিশেষ নিরাপত্তা দিতে হবে কেন ?
আহা! কী অপুর্ব দৃশ্য। মারহাবা!! স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানের জাতির জনক জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বাঙালি জাতির জন্য অবিস্মরণীয় একটি দিন । যেকোন স্বাধীন দেশের জন্য এ এক অভাবনীয় দিন। এই নুরানী চেহারার দেশপ্রেমিক ভাইয়েরা আমাদের গৌরব। বঙ্গবন্ধুকে তো আমরা বাতিলের খাতায় ছুঁড়ে ফেলেছি। চলুন আজ “স্বাধীনতার মহানায়ক” মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে হৃদ্যয়ের আসনে প্রতিস্থাপিত করি। যেসব “মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্ম হল” তা সংশোধন করি। মহামান্য উপদেষ্টাগণ আপনারা অনুগ্রহ করে শুধু সংবিধান পুনলিখনের জন্য কমিশন না করে, ইতিহাস পুনলিখনের জন্য আর একটা কমিশন গঠন করুন। এতদিনের জানা “মিথ্যা ইতিহাসের” কবল থেকে দেশ ও জাতি মুক্তি পাক।
কি আর বলবো, মনের উচ্ছ্বাসে, আনন্দের অতিশর্যে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা যারা এনেছিল তাঁদের কাছে আজ আমরা আবার লজ্জিত হয়ে গেলাম।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন হাজারো মানুষ জাতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে । সংসদ ভবনের বিভিন্ন দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত আনুমানিক ৯০ লাখ টাকা হারিয়ে গেছে। গণভবনকে গণঅভ্যুত্থান জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে বলে শুনেছি। এখন জাতীয় সংসদকে আমাদের দূর্বল নৈতিকতা এবং অসভ্যতার জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করা হবে কিনা সেটাই চিন্তার বিষয়।
ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে বোধ করি আমার মত সবার একটা গর্ব বোধ কাজ করে । কিন্তু নিরপরাধ এক তরুণকে হত্যার ঘটনার পর সেটা কি আর আদৌ সম্ভব হবে? বরং আমার মত হয়তো অনেকের লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আমি সব সময় খুব আপ্লূত ছিলাম এই ভেবে যে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা কত সমাজ সচেতন, তাঁরা এখনও দেশকে নিয়ে ভাবে। গর্বে আর খুশিতে মনটা ভরে যেত। প্রধান উপদেষ্টা কি নির্মমভাবে হত্যা কৃত এই মানুষটির জন্য দু ফোঁটা চোখের জল ফেলবেন? না হয় প্রথম দিন গলা কাঁপিয়ে যেভাবে এয়ারপোর্টে অভিনয় করেছিলেন, সেভাবে না হয় অনুপ্রেরণামূলক সুন্দর কিছু কথা বলুন, জাতি শুনে ধন্য হোক। বিচারবহির্ভূত সকল হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
জীবনে যতবার পাহাড়ে গিয়েছি, ততবার মুগ্ধ হয়েছি। শুধু পাহাড়ে ভেসে থাকা শুভ্র মেঘের স্পর্শে নয়, বরং পাহাড়ের মানুষের হার্দিক উদারতায় মোহিত হয়েছি বহুবার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিংবা কর্মক্ষেত্রে কত পাহাড়ি মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে। মানুষগুলোর সরলতা, স্নিগ্ধতা বরাবর আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের উপর হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। রাষ্ট্রে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা করতে না পরার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। পাহাড়ে সহিংসতার সঠিক বিচার হোক এবং এই সকল জঘন্য কাজ প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হস্তে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে অবিলম্বে।