হোক ইচ্ছের বহিঃপ্রকাশ...

কৃষ্ণচূড়া

যখনই ঈর্ষাকাতর মানুষেরা ধ্বংস করতে ব্যস্ত পৃথিবীর যা কিছু সুন্দর, প্রেমহীন উন্মত্ত লোভে নষ্ট করতে চায় সমস্ত রঙিন স্বপ্ন গুলো, অলীক উচ্ছ্বাসে গা ভাসিয়ে দেয় দুর্গন্ধযুক্ত সমাজে; তখন সবুজ বাতিঘর হতে ভেসে আসা লাল জোনাকির মত নিয়ত প্রাণস্পন্দনে জাগিয়ে তোলে, আগুনের পরশমনি হয়ে আসা, এইসব কৃষ্ণচূড়া ফুল !

স্পর্শ

শহর জুড়ে কোলাহল ছিল, কিন্তু আমাদের দু চোখে ছিল তীব্র ভালবাসাছিল নিত্যকার ব্যস্ততাআর ক্লান্ত জীবনের রুটিন।তুমি যেন এলে বসন্তের মাতাল বাতাস হয়েআমাকে ভাসিয়ে দিলে ভালোবাসার মোহে,ডুবিয়ে দিলে রূপের মধ্যকার অপরূপেতোমার ঠোঁটের স্পর্শ এখনও লেগে আছে আমার অনুভবেতোমার নিঃশ্বাসের গন্ধ মিশে আছে আমার শরীরে।এমন মোহময় সন্ধ্যা আসে নি কখনও আগে,জানি, আসবে না হয়তো কোন দিন আর।সেদিন সন্ধ্যায়,আঙ্গুলে […]

ছুটি

যখন ঘরময় খেলা করা রৌদ্রের নিরন্তর ছোটাছুটি নিজেকে জীবন-দর্শনের মুখোমুখি করে তোলে, যখন মাধবীলতার সুগন্ধ ছড়িয়ে পরে নতুন বইয়ের মায়ায়, কিংবা প্রেমের আবেগ মেশানো এক গ্লাস বেলের শরবত হাতে বসে থাকি তখনই গভীর উপলব্ধি হয় আজ আমাদের ছুটি   

প্রেম

চৈত্রের শেষ প্রহরে, যখন কালো মেঘের দল অভিমান করে ছিল আকাশের সাথে, তখন তোমার আমার মাঝের দূরত্বের সীমারেখা মুছে দিতে যেন নেমে এলো বৃষ্টির দল । বসন্তের এই সন্ধ্যায়, যখন কালবৈশাখীর তাণ্ডবে নগর জীবন বিধ্বস্ত, তখন মাতাল করা ঝরো হাওয়ায় ভেসে এলো তোমার নীরব চিঠি। হটাৎ উন্মাতাল করা এই বৃষ্টিতে, ভিজে গেল মন, ভিজে গেল […]

অন্য কোন ভুবনে

চলো অন্য কোন জীবনে, অন্য কোন ভুবনে,যেখানে অনন্ত কাল ধরে ঝরছে ভালোবাসার বৃষ্টি,যেখানে স্বপ্নেরা উড়ছে রঙিন মেঘ হয়তোমার আকাশ হাজার রঙে রাঙিয়ে দিতে। সেখানে আমি অকৃত্রিম ক্ষুধা হবো না তোমারযা আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখবে তোমাকে,বরং স্মৃতি হবো শুভ্র আলোর জোছনা রাতেরযা তোমার আত্মাকে ধরে রাখবে।

দ্বিতীয় সত্ত্বা

তোমার নিজের মাঝে খুঁজে পাবে তোমার এক সত্ত্বা যে প্রাসাদ তুমি নির্মাণ করেছ তা তোমার আর এক সত্ত্বার ভিত্তি সেই ভিত্তি থেকে জন্ম নেবে তোমার দ্বিতীয় সত্ত্বা। মনে রেখো আর একটি সূর্যোদয় হবে এবং তৈরি করবে তোমার বিকল্প ছায়া হয়ত মিলিয়ে যাবে অন্য কোন দুপুরে, জীবন যখন ক্লান্ত হয়ে পরবে খুঁজে নিয়ো শব্দহীন শব্দের কান্না […]

প্রেমময়তা

তোমার নিমন্ত্রণ পূর্ণিমাতে যখন সকল তিথি পূর্ণ হবে উদাস হাওয়ায় ভেসে ভেসে মেঘেরা তখন খানিক জুড়াবে। যূথী বনের ওপাশ থেকে জোছনার আলো দেবে উঁকি নিভৃত অন্ধকার রবে শুধু তোমার অপেক্ষায় নিমগ্ন। বুনফুলের আবেশ এঁকে দেবে তোমার দুচোখে মুগ্ধতা অনুভবের অনুরণনে রবে শুধু এই প্রেমময়তা।

আবেগী মন

ঝিরিঝিরি বাতাসে জোনাকির মেলা আবেগী দুটি মনের নিরন্তর ছেলেখেলা আলতো করে ছুঁয়ে দেয়া তোমার চোখের পাতা দুটো দুষ্টু হাতের মিষ্টি ছোঁয়ায় চুল গুলো এলোমেলো গোপন কথা রইল না আর গোপন দুরন্ত প্রেমের প্রবল বেগে উন্মোচিত আজ দুটি মন সমস্ত কিছু উজার করেও রইল বাকি কিছু আছে শুধু ভালোবাসা, নেবে? নাও সবটুকু

ফিরে এসো

আকাশের চাঁদ অথবা এক মুঠো নিমগ্ন মুহূর্ত তোমার অপেক্ষায় ভুলেছে ঘুম। তুমি ফিরবে বলে নির্জন চাঁদের সবটুকু আলো অথবা নীল গোলাপের ভালোবাসা মাখানো সুবাস রয়েছে শুধু তোমার অপেক্ষায়। সীমাহীন শূন্যতা কিংবা নিদ্রাহীন রাত হয়ে নয় ফিরে এসো মেঘেদের দল হয়ে অথবা মাঘের শিশির হয়ে ফিরে এসো ভেনাসের জন্মের মধ্য দিয়ে বত্তিচেল্লির হাত ধরে।

সত্ত্বা

প্রশ্ন করি নিজের সত্ত্বাকে উন্মুক্ত হতে পারবে কি হাজার বছরের এই পুরনো মুখোশের আড়াল থেকে? সঙ্কীর্ণতার কারাগারে হতে মুক্ত হয়ে পারবে কি নিতে জীবনের অনুভব ? দায়বদ্ধতার পাহাড় ভেঙ্গে স্পর্শ করবে কি জীবনের সুবাতাস ? অন্ধকার বনের স্তব্ধ সময়কে চুরমার করে উপলব্ধি করবে কি জীবনের ছুটে চলা ? নিত্যকার ছকে আবদ্ধ নিজেকে দেবে কি এক […]